উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মোল্লাহাট, বাগেরহাটে আজ ২০-০১-২০১৯ইং তারিখে মোঃ মহিবুল্লাহ শেখ(৩২) নামে এক যুবক বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী সেজে প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য আসেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সে উপজেলার আড়ুয়াডিহি গ্রামের মোঃ কদম আলী শেখের পুত্র। উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী পরিচয়ে কমলা বেগম নামে একজন মধ্যস্বত্বভোগী তাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট নিয়ে আসেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রতিবন্ধী জরিপ ফর্ম পূরণ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠান। সেখানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুব্রত রায় জরিপ ফর্মে স্বাক্ষর করে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী হিসাবে প্রত্যয়ন প্রদান করেন। কিন্তু, সমাজসেবা কার্যালয়ের ফিল্ড সুপারভাইজার জনাব শেখ রাসেল মাহমুদের বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের কাছে তার অভিনয় ধরা পড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা জনাব রাসেল মাহমুদকে অর্থের প্রলোভন দেখায়।তিনি দ্রুতই কর্মকর্তার নজরে আনলে, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হাতেনাতে ভূয়া প্রতিবন্ধী হিসাবে শনাক্ত করা হয়। সাথে সাথেই তার জরিপকৃত ফর্ম বাতিল করা হয়। প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে চাইলে, তারা বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং পরবর্তীতে কোন ধরণের প্রতারণামূলক কাজ করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে দ্রুত প্রস্থান করে। তিনি এধরণের জালিয়াতির বিরুদ্ধে গণসচেনতা তৈরির প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস